Min menu

Pages

latest news

What is dimension & How many dimensions are there?!


স্কুলে আমাদের physics sir পদার্থবিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলেন সেদিন। ওহ! ফিজিক্স স্যার তো ফিজিক্স ক্লাসই নিবে!! সেদিন তিনি “মাত্রা” সংক্রান্ত প্রাথমিক ধারণা দিয়ে আমাদের বোঝানো শুরু করেছিলেন তিনি।

শোনো তোমরা, তাপ পরিমাপের জন্য যেমন তাপমাত্রা, দূরত্ব পরিমাপের জন্য যেমন কিলোমিটার, তেমনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কেমন তার পরিমাপক হচ্ছে মাত্রা। আমরা সবাই হ্যা সুচক মাথা নাড়ালাম। তো একপর্যায়ে তিনি আমাকে (রাতুল) জিজ্ঞাসা করলেন,
স্যারঃ দেখো, (.) – এইযে sign টাকে দেখতে পাচ্ছো; এটার নাম কি?
রাতুলঃ স্যার, এটাতো একটা বিন্দু।
স্যারঃ হ্যা হয়েছে; তবে এটাকে একটু বিস্তৃতি দিয়ে বর্ণনা করো।
রাতুলঃ( কিছুক্ষন ভেবে)... স্যার, একটা বিন্দু হচ্ছে শুধু মাত্র একটি অবস্থান; যার দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতা কিছুই নেই।
স্যারঃ হুম। ঠিকআছে। বসো। যেকোনো মাত্রা কিন্তু শুরু হয় শুন্য মাত্রা বা একটি বিন্দু দিয়ে, তাই আমরা আগে জানবো শুন্য মাত্রা বা Oth Dimension সম্পর্কে। ধরা যাক, পৃথিবীর কোনো একটি জায়গাতে একটি জীব অবস্থান করছে; এই জীবটি না সামনে, না পেছনে; এমনকি না ডানে, না বামে চলতে পারছে। তার মানে বোঝায় এই জিবটির শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট অবস্থান আছে। এমনকি এটি নিজেও ঘুরতে পারেনা; একে মাপার জন্য না লম্বা না চওড়া ব্যাবহার করা যায়। তাই জীবটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাকেই Oth dimension বলে; Same as a dot!!
আসিফঃ স্যার, আমাদের জগতে কয়টি মাত্রা আছে??
স্যারঃ ধীরে ধীরে সব বলছি। মাত্রা অনেকগুলো। আগে 1st dimension বা 1D নিয়ে বলি। এবার দুটি শুন্য মাত্রা কল্পনা করা যাক। কোনোভাবে যদি এদের যোগ করা যায় বা একটি রেখা টানা যায়, তবে জীবটি সামনে পেছনে চলাফেরা করতে পারবে। চলাচলের এই রাস্তা বা পথটাই হচ্ছে 1st dimension.
রাতুলঃ তার মানে 1st dimension এ অবস্থান ও দৈর্ঘ্য আছে। তাইনা Sir?
স্যারঃ হুম। এবার আসি 2nd dimension এ। এখন সেই জীবটি যদি সামনে পেছনে চলার পাশাপাশি ডানে বামে চলাচল করতে পারে, সেক্ষেত্রে তখন সেটা 2nd dimension –এর অন্তর্ভুক্ত। এর মানে সেটার length এর পাশাপাশি breadthও আছে।
মিশুঃ স্যার, তার মানে মোবাইলে সাপ খেলার ব্যাপারটিই 2nd dimension..?
স্যারঃ ( কিছুক্ষন ভেবে)...... একদম ঠিক মিশু। বাহ! তুমি আমার চেয়েও ভালো করে দ্বিমাত্রিক জগতের উদাহরণ দিলে!!! যাই হোক, এবার 3rd dimendion বা 3D. এবার ওই জীবটির জায়গায় আমরা নিজেদের মনে করি। আমরা সামনে পেছনে ডানে বামে চলার পাশাপাশি উপরে নিচে চলাচল করতে পারি; গভীরতা অনুভব করতে পারি।
রাতুলঃ অর্থাৎ এইখানে উচ্চতার ব্যাপারটা আছে...
স্যারঃ হ্যা। আর আমরা মানুষেরাও এই ত্রিমাত্রিক জগতে বাস করছি। এরপর আসি 4th dimension এ। ত্রিমাত্রিক জগতে গতিশীলতার কারণে যে জিনিসটি প্রভাব ফেলে সেটিই সময়। সময় একটি সোজা রাস্তা যেখানে শুধু সম্মুখ দিকেই চলাচল হয়।
রাতুলঃ হ্যা স্যার, আমি এ ব্যাপারে পড়েছিলাম। যে জগতে আমরা বাস করি তাই space. আর এই ত্রিমাত্রিক স্পেসে সময়ের উপস্থিতির কারণে একে space-time বলা হয়।
স্যারঃ Exactly.. মানুষ ছোট থেকে বড় হয়, একসময় মারা যায়। মানবদেহে কোষ পরবর্তী অবস্থার জন্য প্রস্তুত হওয়া এসব সময়ের উপস্থিতির জানান দেয়। সময়ের সম্মুখ দিকে চলার সাথে বস্তু জগতের যে পরিবর্তন হয়, তাতাই একটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি হয়। আর সেটাই হলো সময়। তাই সময়কে 4th dimension ধরা হয়। Now, let’s know about 5th dimension or 5D. মনে করো, তুমি একজন গনিতবিদ হবার স্বপ্ন দেখছো, পাশাপাশি একজন গায়ক হবারও। তোমার এখন থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ধরো, সমান্তরাল মহাবিশ্বে তুমি একটি বিশ্বে গনিতবিদ হলে এবং আরেক বিশ্বে হলে গায়ক। Parallel universe দুটিতে এ তোমাকে একইরকম দেখতে হলেও ভিন্ন বিশ্বে তোমার কিছু নিয়ম ভিন্ন থাকবে। এমনিভাবে একইসাথে যদি তুমি কোনো মাত্রায় গনিতবিদ ও গায়ক হতে পারো এবং তোমার ইচ্ছা পূরণ করতে পারো; সেটাই হবে 5th dimension.
আরিফঃ আচ্ছা স্যার, সমান্তরাল মহাবিশ্বটা কি?
স্যারঃ এজন্যই বলেছিলাম স্কুল absent দিওনা। গত পর্বে আমি এটা নিয়েই আলোচনা করেছিলাম। এখন তোমার জন্য repeat করতে পারবোনা।
আচ্ছা, এইবার তাহলে 6th dimension এ আসা যাক। মনে করা যাক, সমান্তরাল মহাবিশ্বে তোমার দুটি রুপই স্ব স্ব কাজে প্রতিষ্ঠিত। এবার গায়ক রূপটির ইচ্ছে হলো তোমার গনিতবিদ রুপটাকে দেখার জন্য। এতে দুটি রাস্তা। এক , তুমি যখন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছিলে সেই সময়ের ধারায় ভবিষ্যতে গনিতবিদ রূপটির কাছে গিয়ে তার সাথে হাত মেলানো। তবে এতে সময় অনেক লাগবে। তাই এমন একটি রাস্তা খুজতে হবে যাতে সময় কম লাগে। তাই, ২য় রাস্তাটি হলো সরাসরি গায়ক রূপটির বিশ্ব থেকে গনিতবিদের বিশ্বে গমন। আর এটাই 6th dimension.
হৃদয়ঃ স্যার, আরও আছে নাকি?!!!!
স্যারঃ কেন?? !! এইতো প্রায় শেষ। শোনো, এবার 7th dimension সম্পর্কে বলি; এটা একটু জটিল। তাই মনোযোগ দিয়ে শোনো। মনে করো, আমি জোর করে ৬ মাত্রায় কাজ করে একটি মহাবিশ্বকে একটি বিন্দুতে আনলাম। মানে একটি 0th dimension মহাবিশ্ব যেখানে ৬ মাত্রা কাজ করছে। ঠিক এইরকম আরেকটি ৬ মাত্রাযুক্ত মহাবিশ্বকে 0th dimension মহাবিশ্বের সাথে যোগ করি; তাহলে যে রাস্তা পাবো সেটাই 7th dimension. ..
আরিফঃ ঠিক যেমন আমরা 1st dimension পেয়েছিলাম।
স্যারঃ হুম। এখন; ডানে বামে দুটি মহাবিশ্বের ন্যায় উপরে নিচে সমান্তরাল থাকে তাহলে যে নতুন রাস্তাটি পাওয়া যায় তা-ই 8th dimension. ঠিক যেমনি 2nd dimension পেয়েছি। 9th dimension; আমাদের পৃথিবীতে যেমন আমরা ত্রিমাত্রিকভাবে বসবাস করছি ঠিক তেমনি সমান্তরাল মহাবিশ্বে যে ত্রিমাত্রিক রাস্তা তৈরি হয়; মানে উপরে নিচে, ডানে বামে , সামনে পিছনে সমান্তরাল মহাবিশ্বগুলোর মধ্যে যে মাত্রা তাতেই 9th dimension এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
রাতুলঃ আর স্যার, 10th dimension?
স্যারঃ বলছি, এই সমান্তরাল মহাবিশ্বের জগতে যেভাবে ৯ মাত্রা কাজ করছে ঠিক সেই মাত্রাগুলোতে কোনোভাবে যদি নিমিষেই কোথাও চলাচল করা যায় তবে তা 10th dimension রূপে পরিগনিত হবে।
রাতুলঃ সত্যিই আশ্চর্য!!!!!!!!!
স্যারঃ এই ১০ মাত্রার কথা কতটুকু সত্য তা আমি জানিনা। তবে string theory বলে মহাবিশ্বে ১০ মাত্রার উপস্থিতি সম্ভব।
রাতুলঃ তবে স্যার, আমরা ঐসকল মাত্রায় প্রবেশ করতে পারিনা কেন?!
স্যারঃ আমাদের শরীরের গঠন ত্রিমাত্রিক হওয়ায় আমরা higher dimension এ enter করতে পারিনা। আমরা শুধু ৪ মাত্রার বিশ্বই অনুভব করতে পারি। তবে আমরা চাইলে higher dimension এর প্রানিদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি; তাই আমাদের এমন একটি প্রযুক্তি বানাতে হবে যেটি ১ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কারণ, সকল মাত্রাই কিন্তু ১ মাত্রা দিয়ে বানানো। অদূর future এ যদি আমরা সময়ের বাস্তবিকতা অনুভব করতে পারি তাহলে নিমিষেই আমরা মহাবিশ্ব গঠন সম্পর্কিত জ্ঞানপ্রাপ্ত হবো। আরেকটা কথা, এই ১০ মাত্রা বা 10th dimension কে যিনি একইসাথে control করার ক্ষমতা রাখেন হয়তো তাকেই আমরা ডাকি ঈশ্বর বা আল্লাহ!( God!)...
আসিফঃ Oh my God!! স্যার, আপনার ক্লাসের সময়তো ২০ মিনিট আগেই শেষ হয়ে গেছে!!
স্যরঃ Ooo ,, shit.. তা তোমাদের রতন স্যার এখনো আসছেনা কেন?
আসিফঃ জানিনা স্যার।
স্যারঃ আচ্ছা, বিদায় সকলকে। আগামী ক্লাসে Sir Newton এর গতিসূত্র নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি তোমাদের কিছু math করতে দিবো।
তথ্যসূত্রঃ
১। ফেসবুক
২। বাংলাপিডিয়া
৩। ম্যাগাজিনঃ জিরো টু ইনফিনিটি।

Writer : Nafiur Rahman

Contact:

             Whatsapp: +8801311255604
             E-mail: nafiurrahman2005@gmail.com
             Facebook: Nafiur Rahman
             Instagram: n.a_f.i_u.r
Nafiur Rahman
Nafiur Rahman
I'm one of the head website administrators & content writer at AloronBangla as well.

Comments