Min menu

Pages

latest news

Quotes from যোগাযোগ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!


বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে।বইটি পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন।আমি এখানে শুধুই বইটি থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি তুলে ধরেছি যাতে লেখকের জীবনভাবনা সম্পর্কে

 ধারনা পাওয়া যায়!বইটি না পড়তে চাইলে এই পোস্টটি পড়লেই বইটির সম্পূর্ণ দর্শন ধরতে পারবেন বলে আমি আশাবাদী!
যোগাযোগ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


★মরিয়া হয়ে যারা পুরানো ঘর ছাড়তে পারে,তেজের সঙ্গে নূতন ঘর বাঁধবার শক্তিও তাদের।

★যারা মারে তারা ভোলে,যারা মার খায় তারা সহজে ভুলতে পারে না।
★পুরুষরা সংসার চালায় নিজের শক্তি দিয়ে,মেয়েরা লক্ষ্মীকে ঘরে আনে নিজের ভাগ্যের জোরে।
★উপায় করবার পথ বিধাতা মেয়েদের দিলেন না,দিলেন কেবল ব্যথা পাবার শক্তি।
★অনেক সময়েই শুভলগ্নের শাখায় শুভফল ফলে না,তবু বাস্তবের শক্তি নেই প্রমাণের দ্বারা স্বপ্নের মোহ কাটাতে পারে।স্বপ্নের জগতে বিচার চলে না,একমাত্র চলে মেনে চলা।এ জগতে দৈবের ক্ষেত্রে যুক্তির সুসংগতি,বুদ্ধির কর্তৃত্ব ভালো-মন্দর নিত্যতত্ত্ব নেই।
★জন্ম-একলা মানুষদের জন্যে দরকার মুক্ত আকাশ,বিস্তৃত নির্জনতা,এবং তারই মধ্যে এমন একজন কেউ,যাকে সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে ভক্তি করতে পারে।নিকটের সংসারে থেকে এই দূরবর্তিতা মেয়েদের স্বভাবসিদ্ধ নয় বলে মেয়েরা এটা একেবারেই পছন্দ করে না।তারা এটাকে হিয় অহংকার,নয়, হৃদয়হীনতা বলে মনে করে।
★ভেবেই ভাবনা শেষ করতে হয়,তাকে ফাঁকি দিয়ে থামাতে গেলে বিপরীত ঘটে।
★ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা সবচেয়ে অসহ্য,যখন সে সোনার রথ আনে যার চাকা অচল।
★মা কী ছেলে বেছে নেয়?ছেলেকে মেনে নেয়।কুপুত্রও হয় সুপুত্রও হয়।স্বামীও তেমনি।বিধাতা তো দোকান খোলেননি।ভাগ্যের উপর বিচার চলবে কার?
★দুই পক্ষের সততায় তবেই বিবাহবন্ধন সত্য।সুরে-বাঁধা এসরাজের কোনো মানেই থাকে না যদি বাজাবার হাঁতটা হয় বেসুরো।
★অনুরাগে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব থাকে,ভক্তি আরো বড়।তাতে আবেদন নেই,নিবেদন আছে।
★আড়ম্বরে পাল্লা দেবার চেষ্টা ইতরের কাজ।
★ভদ্রতা সাধারণ লোকের,অভদ্রতাই রাজোচিত।
★খবর না দেওয়ার উচিত জবাব হচ্ছে খবর না নেওয়া।
★যুক্তির দ্বারা সংসারে দুঃখ ঠেকানো যায় না।
★মেয়েদের পীড়ন করা এতই সহজ;তাদের মর্মস্থান চার দিকেই অনাবৃত।জবরদস্তের হাতেই সমাজ চাবুক জুগিয়েছে;আর যারা বর্মহীন তাদের স্পর্শকাতর পিঠের দিকে কোনো বিধিবিধান নজর করে না।
★আসল হারজিত বাইরে দেখা যায় না।তার ক্ষেত্রটা লোকচক্ষুর অগোচরে।
★কে বড় কে ছোট,কে উপরে কে নীচে,এ সমস্তই বানানো কথা!ফেনার মধ্যে বুদবুদগুলোর কোনটার স্থান তাতে কী আসে যায়।
★প্রাণের চেয়ে মান বড়,অর্থের চেয়ে ঐশ্বর্য!
★রক্তগত জাতের অসামঞ্জস্য মেয়েকে যেমন মর্মান্তিক করে মারে পুরুষকে এমন নয়।
★সম্পূর্ণ আত্মনিবেদন একটা ফলের মতো,আলো-হাওয়ার মুক্তির মধ্যেই সে পাকে,কাঁচা ফলকে জাঁতায় পিষলেই তো পাকে না।
★বাইরে থেকে জীবনে বাঁধা আসসে তখন লড়াই করবার জোর পাওয়া যায়,স্বয়ং দেবতাই হন সহায়।হঠাৎ সেই বাইরের বিরুদ্ধতা একেবারে নিরয়াত হলে যুদ্ধ থামে কিন্তু সন্ধি হতে চায় না।তখন বেড়িয়ে পরে নিজের ভিতরের প্রতিকূলতা।
★ভালো জিনিসের ভাঙা টুকরো দিয়েই অলক্ষ্মী বাসা বাঁধে।
★আসল কাজের চেয়ে উপড়ি কাজের ভিড় কম নয়।
★অতৃপ্তির আকর্ষণ বড়ো প্রচণ্ড।বাঁধাতেই বাঁধার উপর টেনে আনে।
★লক্ষ্মীর দান গ্রহণ করতে সময় লাগে।
★ভিতরে ভিতরে যাকে শ্রেষ্ঠ বলে জানে বাইরে তাকে মারে।
★মধুময় ঠকানোকেই বলে মায়া।
★দৌর্বল্য স্বভাবত অনুদার,দুর্বলের আত্মগরিমা ক্ষমাহীন নিষ্ঠুরতার রূপ ধরে।
★ডাক্তারকে যে মানে না,হাতুড়েকে মানতে তার বাধে না।
★সংসারে দেখা যায় মানুষকে বিশ্বাস করলে মানুষ বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
★ভাষা যত কম বুঝবে,ভক্তি ততই বেড়ে উঠবে!
★পুণ্য করার চেয়ে পাপ করা অনেক শক্ত কাজ,দেবতা যদি তা বুঝতে পারেন তাহলে পুরষ্কার দেবেন।
★স্তুতির ক্ষুধা দেবীদের কিছুতেই মেটে না!
★সংসারে ভালোবাসাটা উপরি-পাওনা।ওটাকে বাদ দিয়েই ধর্মকে আঁকড়ে ধরে সংসারসমুদ্রে ভাসতে হবে।
★বড় কাজের ছোট ত্রুটি ধরা সহজ!
★আনাড়িরা লাভ করতে চায়,বিচার করতে চায় না।
★নতুন-গড়া রাজাদের পারিবারিক মর্যাদাবোধ খুবই উগ্র।
★যে আগুন নেভাবার কোনো উপায় নেই,সেটাকে আপনি জ্বলে ছাই হওয়া পর্যন্ত তাকিয়ে দেখতে হবে।
★ভিন্ন ভিন্ন মানুষের জীবন তার ঘটনায় ও অবস্থায় এতই ভিন্ন হিতে পারে যে,ভালোমন্দর সাধারণ নিয়ম অত্যন্ত পাকা করে বেঁধে দিলে অনেক সময়ে সেটা নিয়মই হয়,ধর্ম হয় না।
★বিষয় আছে ভাবনা নেই,সংসারে এ কী হয় নাকি?ও যে কাঁটাগাছের ফল,খিদের চোটে পেড়ে খেতেও হয়,পাড়তে গিয়ে সর্বাঙ্গ ছড়েও যায়!
★ভয়েরও একটা আকর্ষণ আছে!
★যাঁর অনাদর কল্পনা করা যায় না সংসারে তাঁরও অনাদর ঘটে।
★শ্রুত সংগীত মধুর,অশ্রুত সংগীত মধুরতর।তেমনি শ্রুত সংবাদ ক্লান্তিকর হতে পারে,কিন্তু অশ্রুত সংবাদ আরো অনেক ক্লান্তিকর।
★দুঃখ এড়াবার জনে চেষ্টা করলে দুঃখ পেয়ে বসে।ওকে জোরের সঙ্গে মানতে হবে।
★অপমান সহ্য করে যাওয়া শক্ত নয়,কিন্তু সহ্য করা অন্যায়!
★ স্ত্রীর প্রতি অত্যাচার করতে বাহিরের বাধা এতই কম!স্ত্রীকে নিরুপায়ভাবে স্বামীর বাধ্য করতে সমাজে হাজার রকম যন্ত্র ও যন্ত্রণার সৃষ্টি করা হয়েছে,অথচ সেই শক্তিহীন স্ত্রীকে স্বামীর উপদ্রব থেকে বাঁচানোর জন্যে কোনো আবশ্যিক পন্থা রাখা হয়নি।
★সমাজের ভালোবাসা নেই,আছে কেবল বিধান।
★মেয়েদের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম!
★অবিচারে কোনো মানুষের শ্রেষ্ঠতা স্বীকার করে নেওয়ার দ্বারা শুধু যে তারই অনিষ্ট তা নয়,তাতে করে সমাজে শ্রেষ্ঠতার আদর্শকেই খাটো করে।
★দুঃখ যদি পেতেই হয়,তাকে মেনে নিয়েও তাকে ছাড়িয়ে ওঠবার উপায় করতে হবে।তাই তো মেয়েরা এত করে ধর্মকে আশ্রয় করে থাকে।
★পারিবারিক বাঁধনের দাম মেয়েদের কাছে খুবই বেশি।
★যার দর বেশি তার আদর বেশি,যে সস্তা সে হয়তো সস্তা বলেই জেতে।
★কুটুম্বতার দায়িত্ব আত্মমর্যাদার দায়িত্বের চেয়েও বড়!
★গোড়াতেই সকল কথার শেষ পর্যন্ত ভাবতে গেলে ঠকতে হয়।আশু ভাবা উচিত প্রথম কর্থব্যটা কী।
★সংসারে ক্ষুদ্র কালটাই সত্য হয়ে দেখা দেয়,চিরকালটা থাকে আড়ালে;গানে চিরকালটাই আসে সামনে,ক্ষুদ্র কালটা যায় তুচ্ছ হয়ে,তাতেই মন মুক্তি পায়।
★জীবনে অনেককিছু খসে যায়,তবুও কিছু বাকি থাকে।
★সংসারে সব জিনিসেরই অবসান আছে।
★মানুষে মানুষে যে ভেদটা সবিচেয়ে দূরতিক্রমণীয়,তার উপাদানগুলো অনেক সময়ে খুবই সূক্ষ্ম।ভাষায়,ভঙ্গিতে, ব্যবহারের ছোট ছোট ইশারায়,যখন কিছুই করছে না তখনকার অনভিব্যক্ত ইঙ্গিতে,গলার সুরে,রুচি, রীতিতে , জীবনযাত্রার আদর্শে,ভেদের লক্ষ্মণগুলি আভাসে ছড়িয়ে থাকে।
★রোগীর মতো শুয়ে থাকলে মনটা দুর্বল থাকে।
★মানুষ যখন মুক্তি চায় তখন কিছুতেই তাকে ঠেকাতে পারে না।

Comments